ফয়সাল আহমেদ: [২] বাংলাদেশের জাতীয় দলের দুই মহাতারকা তামিম ইকবাল খানের ফরচুন বরিশাল ও সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সের জমজমাট খেলা দেখতে গ্যালারিতে ভিড় জমিয়ে ছিলো দর্শকরা। যদিও যেমনটা ভাবা হচ্ছিল ম্যাচটা সে অর্থে উত্তেজনার পারদ ছুতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তামিমের বরিশালের কাছে হার মেনেছে সাকিবের রংপুর। আগে ব্যাটিং করে ১৩৪ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে যায় বরিশাল।

[৩] দুই ওপেনার তামিম ও ইব্রাহিম জাদরান বরিশালের শুরুটা ভালো করেন। উদ্বোধোনী জুটি  থেকে আসে ৩২ রান।

[৪] ইব্রাহিমকে ১২ রানে ফেরান সাকিব। তার সঙ্গী তামিম ৩৫ রান করতে খরচ করেন ২৪ বল। পাঁচ চার ও এক ছক্কা হাকান তামিম। এরপর মোহাম্মদ নবির বলে স্টাম্প আউট হন। এরপর দ্রুতই ফেরেন সৌম্য সরকার। তবে বরিশালকে পথ হারাতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ-মুশফিকুর রহিম।

মিরাজ ১৮ ও মুশফিক ২৭ রান করেন। শোয়েব মালিককে নিয়ে জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন সাইলেন্ট কিলার খ্যাত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শোয়েব ১৭ ও দুই ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই ছক্কার দ্বিতীয়টিতে শেষ ওভারের প্রথম বলে দলের জয় নিশ্চিত করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। 

[৫] টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও ব্রেন্ডন কিং এবং তিনে নামা সাকিব আল হাসানের মূল্যবান উইকেট হারায় রংপুর রাইডার্স। আউট হয়েছেন মাত্র দুই রানে।

[৬] বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হন আফগান ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইও। শ্রীলঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার দুনিথ ভেল্লালাগের বলে তাঁর হাতেই ফিরতি ক্যাচ দেন আহজমতউল্লাহ। এরপর শামীম হোসেনকে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ডে ৩৪ রান যোগ করেন নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেনি নুরুল হাসান সোহানন। ২৩ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। মাঝে শামীম ৩৩ বলে ৩৪ রান করলেও দ্রুতই ফেরেন মোহাম্মদ নবি। ১৯ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে শেখ মেহেদী। এরপর খালেদ আহমেদের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সম্পাদনা: এল আর বাদল